30 C
Bangladesh
Friday, March 29, 2024
spot_imgspot_img
HomeUncategorizedনওগাঁর ধামইরহাটে সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সংবাদ সম্মেলন

নওগাঁর ধামইরহাটে সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সংবাদ সম্মেলন

মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি-

নওগাঁর ধামইরহাটে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে মানববন্ধন করায় লক্ষণপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ মার্চ দুপুর ১২ টায় ধামইরহাট বাজার চত্বরে লক্ষণপাড়া এলাকাবাসী, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ এই সম্মেলনের আয়োজন করেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমি বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার নিয়মিত দায়িত্ব পালনকালে একটি পক্ষ আমার উপর ইর্শান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে আমার বিএড সনদ জাল বলে অভিযোগ তুলে আমাকে হয়রানী করে ও এক পর্যায়ে গায়ের জোরে বরখাস্ত করে। রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড আমার বরখাস্তের আদেশ বাতিল করে আমাকে স্বপদে বহাল রাখার নিদের্শণা দিলেও সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম তা না মানলে আমি উচ্চ আদালতের স্বরনাপন্ন হই। সেখানে মহামান্য হাইকোর্ট ও মাউসি’র নির্দেশনায় আমার বেতন বিল চাপের মুখে দিতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাধ্য হয়।
সম্মেলনে উপস্থিত সদ্য বিদায়ী ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাসুদ করিম সরদার জানান, ‘আব্দুল্লাহ আল মামুনের সনদ সঠিক ছিল, তারা অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে ভূয়া প্রত্যয়নপত্র এনে সহকারী প্রধান শিক্ষককে হেনস্তার চেষ্টা করেছে এবং আমি কমিটির দায়িত্বে থাকাকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম আগেই পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৩দিন পরে মিটিং আহবান করে, ওই মিটিয়ে আমাদের কমিটিকে না জানিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিবাদ করলে সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজুলেশন ছিড়ে ফেললে আমরা আদালতে মামলা করি এবং পরবর্তীতে জেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয় তদন্তে আসলে নুরুল ইসলামের অনিয়ম ধরাপড়ে। এছাড়া অযথা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জড়ানো ছিল একটা চক্রান্ত মাত্র।

এ সময় লক্ষণপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাবিবা আফরোজ, আশরাফুল ইসলাম, নৈশ্যপ্রহরী আব্দুর রহমান, অভিভাবক সদস্য আনোয়ার হোসেন, কমিটির সাবেক সদস্য মোতালেব হোসেন,স্থানীয় রশিদুল ইসলামসহ সম্মেলনে অর্ধ শতাধিক উপস্থিতি ছিলেন।
তবে অভিযুক্ত সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, সহকারী প্রধানের সনদ পিবিআই তদন্তে জাল প্রমানিত হয়েছে, আমি বিদায় নেওয়ার পূর্বে বিধি অনুযায়ী সিনিয়র শিক্ষক সাদেকুর রহমানকে দায়িত্ব দিয়েছি, আমি কোন অনিয়ম ও অর্থ আত্নসাৎ করিনি।

অভিযুক্ত অপর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাদেকুর রহমান বলেন, আমি জ্যৈষ্ঠ শিক্ষক হওয়ায় সরকারি বিধি মোতাবেক আমাদের কর্তৃপক্ষ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি কোন শিক্ষকদের হেনস্তা করিনি, এবং শিক্ষা পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments