নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:
নওগাঁর বদলগাছীতে গাঁজাসহ একটি ট্রাক আটক করেছে থানা পুলিশ।
গাঁজা আটকের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত ও সাংবাদিকের
মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, ২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ভোর ৬ টার সময় উপজেলার মিঠাপুর ইউপি’র মিঠাপুর
(কবিরাজ পাড়া) দুর্জয়/বাবলুর বাড়ির নিকট গাঁজাসহ একটি ট্রাক (যার নং-ড-১৪-৮৭১৪)
এলাকাবাসি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ বেলা ৯ টার দিকে উপস্থিত হয়ে
ঘটনাস্থল থেকে গাঁজাসহ ট্রাকটি জব্দ করেন। এঘটনায় পুলিশ দু’জনকে আটক করেন।
আটককৃতরা হলেন, মিঠাপুর (কবিরাজ পাড়া) গ্রামের মৃত বাবলুর ছেলে দুর্জয়(২৩) ও নিরব
(৩৭)। এসময় সাংবাদিক সংস্থা বদলগাছী’র সহ-সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার বদলগাছী উপজেলা প্রতিনিধি এনামুল কবির এনাম তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে এএসআই মিজানুর রহমান
তার সাথে অকথ্য ভাষায় কথা বলাসহ তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর বেলায় পাড়ার ভিতরে হিরো কবিরাজের বাড়ির সামনে ট্রাক দেখে
আমরা আতংকিত হয়ে পড়ি। তারপর জানতে পারি ট্রাকে অনেক গাঁজা আছে। গ্রামের মামুনুর
রশিদের ছেলে সোহেল, কমর উদ্দিন মোল্লার ছেলে দেলোয়ার হোসেন, মৃত বাবলু মন্ডলের ছেলে
দুর্জয় গাঁজার বস্তা নিয়ে টানাটানি করছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে সোহেল ও নিরবের নিকট
থেকে ৪ পেটি ও দেলোয়ারের নিকট থেকে ১ পেটি গাঁজা উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে পুলিশের
জিজ্ঞাসাবাদে দুর্জয় তার মামার আলুর ক্ষেত থেকে ৪ পেটি গাঁজা উদ্ধার করেন। তারা জানান,
মিজানুর রহমান সাংবাদিক এনামের সাথে উগ্র মেজাজে কথা বলেন এবং এই মিয়া আপনাকে
কে ভিডিও করতে বলেছে বলে তার মোবাইলটি জোরপূর্বক কেড়ে নেন।
মিঠাপুর গ্রামের আঃ সালামসহ কয়েকজন বলেন, ফজরের নামাজ পড়ে চারমাথা মোড়ে দাঁড়াতেই
একটি ট্রাক দ্রুত গতিতে উত্তর দিকে চলে গেল। আমি পিছু না হটলে ট্রাকটি আমাকে
ধাক্কা দিতো। এর কিছুক্ষণ পরে সাদা রঙের একটি হাইচ মাইক্রোবাস এসে আমার সামনে
দাঁড়িয়ে ট্রাকটি কোন দিকে গেল বলে জিজ্ঞাসা করে। তারপর ট্রাকটির পিছনে মাইক্রোটিও
চলে গেল। পরে শুনতে পাইলাম গাঁজাসহ ট্রাকটি আটক করেছে পুলিশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, ট্রাকে গাঁজা ছিল। গ্রামের লোকজনের
সাথে অচেনা কিছু লোক গাঁজাগুলো লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এই গাঁজার সাথে বড় মাদক
ব্যবসায়ী জড়িত আছে। তারা আর ও বলেন দেলোয়ার হোসেনর বাড়ী থেকে গাঁজা উদ্ধার করলে ও দেলোয়ারকে আটক না করে এসআই আঃ আলিম অপর দুজনকে আটক করেন যা সন্দেহজনক।
এদিকে সাংবাদিক সংস্থার সহ-সভাপতি এনামুল কবির এনাম বলেন, গাঁজা আটকের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বদলগাছী থানার এসআই মেহেদী হাসান, এসআই আঃ আলীম ও এএসআই মিজানুর রহমান হিরোর আলুর ক্ষেত থেকে গাঁজা উদ্ধার করছেন।
এসময় আমি ছবি তুলতে গেলে এএসআই মিজানুর রহমান আমাকে অকথ্য ভাষায় কথা বলেন এবং আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। আমি সাংবাদিক পরিচয় দিলেও তিনি বলেন, ধুর মিয়া আপনি কিসের সাংবাদিক বলে আমার হাতে থাকা মোবাইল ফোন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেন। একজন
পুলিশ কর্মকর্তার এহেন আচরণে আমি হতভম্ব হয়েছি। আমি তার উপযুক্ত শাস্তির দাবি
জানাই।
এএসআই মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বিভিন্নজন মালামাল
লুট করে নিয়ে গেছে। আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছিলাম এমন সময় তিনি ভিডিও করছিলেন। আমি জানতাম না যে তিনি সাংবাদিক। তার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে সাথে সাথে
সাংবাদিক বুলু ভাইকে মোবাইলটা দিয়ে দিয়েছি। তার সাথে খারাপ আচরণ করিনি।
অফিসার ইনচার্জ মুহা. আতিয়ার রহমান বলেন, শতাধিক মানুষের সাক্ষাতে গাঁজা ওজন করে ৯
পেটিতে মোট ১৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার এবং ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। জড়িত সন্দেহে
দুজনকে আটক করা হয়েছে। সাংবাদিকের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার ঘটনা শুনেছি।
Reading your article helped me a lot and I agree with you. But I still have some doubts, can you clarify for me? I’ll keep an eye out for your answers.