নিজস্ব প্রতিবেদক:
গ্রাহকবান্ধব সেবা, সঠিক পরিকল্পনা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতা ও সততা, দক্ষতা পরিচালনা এবং কার্যকর যোগাযোগের ফলে অগ্রণী ব্যাংকের কুয়াকাটা শাখাটি ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে । এ শাখায় চলতি অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাসে ১২.৭৪ লক্ষ টাকা মুনাফা হয়েছে যা গত বছরের জুন-১৯ মাসে ছিল মাত্র ২.৪৫ লক্ষ টাকা ।
এছাড়া ২০১৯ সালের ডিসেম্বর ভিত্তিক তথ্যানুযায়ী এই কুয়াকাটা শাখাটি লোকসানী শাখা থেকে ব্যবস্থাপক এস,এম, হাসানুজ্জামান এর পরিকল্পনায় মাত্র ৯(নয়) মাসের প্রচেষ্টায় ৩১.৫৮লক্ষ (অর্জনের হার ১০৫৬%) টাকা মুনাফা অর্জনের মাধ্যমে লাভজনক শাখায় রুপান্তরিত করেছেন এবং বরিশাল সার্কেলের মধ্যে কুয়াকাটা শাখাটিকে ব্যবসায়িক সকল লক্ষমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে সার্কেলের ৫৯টি শাখার মধ্যে ২য়(দ্বিতীয়) অবস্থানে নিয়ে গেছেন । এ সাফল্য অর্জনের জন্য যিনি ব্যাংকের নিরলসভাবে কাজ করেছেন তিনি হলেন শাখা ব্যবস্থাপক এস,এম, হাসানুজ্জামান ও তার শাখার গ্রাহকবান্ধক কর্মকর্তাবৃন্দ। তাদের কর্মতপরতায় ইতোমধ্যে কুয়াকাটা শাখাটি স্থানীয় গ্রাহকবৃন্দের কাছে গ্রাহকবান্ধব শাখা হিসাবে পরিচিত পেয়েছে এবং সেবার মান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অত্র এলাকায় কুয়াকাটা শাখার ব্যবস্থাপক এস,এম, হাসানুজ্জামান তার আচার ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেকে খুবই জনপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত করেছেন যা ব্যাংকের ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করেছে। বর্তমান ব্যবস্থাপক কুয়াকাটা শাখায় ২৫ শে মার্চ, ২০১৯ তারিখে যোগদানের পর এ শাখায় আমানত সংগহ্র হয়েছে প্রায় ২৪ কোটি এবং ঋণ প্রদান করেছেন প্রায় ১০ কোটি যা পূর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ । তিনি ব্যবস্থাপক হিসাবে যোগদানের সময় আমানত ছিল ৮.৬৫ কোটি, ঋণ ছিল ৯ কোটি টাকা এবং লোকসান ছিল প্রায় ১.০০ লক্ষ টাকা । তিনি শাখায় দ্বায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে শাখাটি লাভজনক শাখায় রূপান্তরিত হওয়ার পথে অনেক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে এবং সন্তোষজনক পর্যায়ে উন্নতি হয়েছে। ব্যবস্থাপক হাসানুজ্জামান নিজে ডেস্ক থেকে উঠে গ্রাহকদের বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকেন এবং সাধ্যমত গ্রাহকদের সমস্যা আন্তরিকতার সাথে সমাধানের চেষ্টা করেন যা কুয়াকাটা শাখায় এর আগে খুব একটা দেখা যায়নি। ব্যবস্থাপক এস.এম, হাসানুজ্জামান ১২মে, ২০১২্ইং তারিখ অগ্রণী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসাবে আঞ্চলিক কার্যালয়, পটুয়াখালীতে যোগদান করেন। কুয়াকাটার মৎস্য বাজার ব্যবসায়ীদের মতে, “বর্তমান ব্যবস্থাপকের নেতৃত্বে কুয়াকাটা অগ্রণী ব্যাংক সেবার মান আগের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে যা বেসরকারি ব্যাংককেও হার মানিয়েছে। এভাবে সেবা পাওয়া গেলে কুয়াকাটা শাখাটি ভবিষ্যতে আরো ভালো অবস্থানে চলে যাবে”। কুয়াকাটা অগ্রণী ব্য্ংাকের ব্যবস্থাপক এস,এম, হাসানুজ্জামান বলেন, “গ্রাহকরাই ব্যাংকের প্রান তাই তাদের সর্বোত্তম সেবা প্রদানে আমি সব সময় চেষ্টা করি । কতকুটু করতে পেরেছি সেটা সম্মানিত গ্রাহকরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে আমি আমার সাধ্যের মধ্যে আমার শাখার দ্বিতীয় কর্মকর্তা মোঃ বশির আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দকে নিয়ে গ্রাহক সেবার মান আন্তরিকতার সাথে নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি যার ফলে শাখাটিকে লোকসানী শাখা থেকে বরিশাল সার্কেলের মধ্যে ব্যবসায়িক সকল লক্ষমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে দ্বিতীয় অবস্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে । এ জন্য আমি কুয়াকাটা শাখার সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দসহ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও কুয়াকাটা পৌরসভার সম্মানিত মেয়র জনাব আবদুল বারেক মোল্লা মহোদয়কে শাখার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং আশা করছি ভবিষ্যতেও তারা অগ্রণী ব্যাংকের সাথে সুসম্পর্ক ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন যাতে অগ্রনী ব্যংকের এই শাখাটি এলাকার ব্যবসায়ীবৃন্দকে সাথে নিয়ে গ্রাহকসেবার মাধ্যমে সাফল্যের শীর্ষে উপনীত হতে পারে।”