21 C
Bangladesh
Tuesday, December 3, 2024
spot_imgspot_img
Homeআইন ও আদালত৪০ বছরের ভোগ দখলিয় সম্পত্তি হাত ছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় ৮০ বছরের বৃদ্ধ...

৪০ বছরের ভোগ দখলিয় সম্পত্তি হাত ছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় ৮০ বছরের বৃদ্ধ সাবেক শিক্ষক রিয়াছত হোসেন।


এস মন্ডল ,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে;
দিনাজপুর ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনর ইউনিয়নে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ভোগ দখলিয় সম্পত্তিতে দোকান ঘর নির্মান করে ভাড়া দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ ফুলবাড়ী জি.এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক রিয়াছত হোসেন। সেই পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি বর্তমানে ৪৪ নং শিবনগর সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় নিজেদের দাবি করছে এবং সেখানে থাকা দোকান ঘর গুলো বিদ্যালয়ের দখলে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক রিয়াছত হোসেন।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার শিবনর ইউনিয়ন পরিষদের পার্শে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ভোগ দখলিয় সম্পত্তিতে দোকান ঘর নির্মান করে ভাড়া দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রিয়াছত হোসেন। সেই পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি বর্তমানে ৪৪ নং শিবনগর সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের সীমানার অংশ বলে দাবি করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমীনা প্রাচীর নির্মান করে সেই দোকান ঘরগুলো বিদ্যালয়ের দখলে নিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে কোন প্রতিকার না পেয়ে ভুক্তভোগী অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক রিয়াছত হোসেন আদালতের দারস্থ হলে দিনাজপুর জেলা জজ আদলত বিষয়টি আমলে নিয়ে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মান কাজ কেন বন্ধ করা হবেনা ৭ দিনের মধ্যে তা জানতে চেয়ে কারন দর্শনোর নোটিশ করেন। এর পরেও কাজ চলমান থাকায় হতাশা প্রকাশ করেন শিক্ষক রিয়াছত হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন।
সাবেক শিক্ষক রিয়াছত হোসেন জানান, আমার চাচা আজিজার রহমান বিদ্যালয়ের নামে এক একর জমি দান করেন । বিদ্যালয় সেই জমিতে তাদের স্থাপনা তৈরী করুক তাতে আমার কোন আপত্তি নাই। কিন্তু বিদ্যালয় আমার পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ৪০ বছরের ভোগ দখলকৃত জমি কেন দখলে নিচ্ছে তা আমি বুঝে উঠতে পারছিনা। আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমি বৃদ্ধ মানুষ আমি কারো সাথে ঝগড়া বিবাদ করতে পারবো না। আমি সরকারের কাছে সঠিক বিচার দাবি করছি।
এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ কাওছার জাহান জনান, বিদ্যালয়ের জমি দাতা আজিজার রহমানেরা ৪ ভাই ছিলেন এই দাগে তাদের মোট ২ একর ১৬ শতক জমি ছিলো। তারা চার ভাই সমান ভাগ করলে প্রতি এক ভাই প্রায় ৫৪ শতক জমির মালিক। রিয়াছত হোসেনর বাবা তাদের অংশের চেয়ে বেশি জমি শিবনগর ইউনিয়ন পরিষদে দান করেন। আর আজিজার রহমান তার পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত সম্পতির মধ্য থেকে এক একর জমি শিবনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে দান করেন। প্রায় ৫০ বছর সময় থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যালয়টি একইস্থানে অবস্থান করছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টির সীমানা প্রাচীর নির্মান কাজ চলমান। এমন সময় শিক্ষক রিয়াছত হোসেন বিদ্যালয়ের ভিতরের অংশ নিজের বলে দাবি করে দিনাজপুর জজ কোট থেকে কারন দর্শানোর একটি উকিল নোটিশ প্রেরণ করেছে। যার জবাব আমরা সময়ের মধ্যেই দিব।

Most Popular

Recent Comments