নিজস্ব প্রতিবেদক:
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক সংসদ সদস্য রানা মো. সোহেলের বিরুদ্ধে জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে কুয়াকাটার সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলাস সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জমিটি সায়েদুর রহমান নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন বলে দাবি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী সায়েদুর রহমান জানান, তিনি ১৯৯৯ সালে লতাচাপলী মৌজার এসএ খতিয়ানভুক্ত জমি (জে.এল ৩৪, দাগ ৬৩২১) ক্রয় করেন এবং পরবর্তীতে বিএস জরিপে সেটি (জে.এল ৫৭, খতিয়ান ৯৭৬, দাগ ৪২১৩) তার নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই জমি ভোগ করে আসছেন এবং নিয়মিত ভূমি কর পরিশোধ করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, পাশের জমির মালিক রানা মো. সোহেল দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার প্রভাবে জমিটি দখলের চেষ্টা করে আসছিলেন। সম্প্রতি প্রাচীর নির্মাণের সময় মহিপুর থানা পুলিশ হস্তক্ষেপ করে নয়জন নির্মাণ শ্রমিককে আটক করে এবং ওই নয়জনসহ ২৭ জনকে আসামি করে মামলা করে। পরে তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে প্রাচীর নির্মাণ শেষ করেন।
সায়েদুর রহমানের ভাই রাশেদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “২১ এপ্রিল রাতে রানা সোহেলের নেতৃত্বে ভেকু মেশিন দিয়ে প্রাচীরটি ভেঙে ফেলা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে থানায় একাধিকবার ফোন করলেও ওসি মো. তারিকুল ইসলাম ব্যবস্থা নেননি।”
তিনি আরও দাবি করেন, রানা সোহেল ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় জালিয়াতির মাধ্যমে একটি পর্চা তৈরি করান (নম্বর ২৫২৫), যা পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তদন্তের মাধ্যমে বাতিল করেন।
এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা। তারা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অন্যদিকে, রানা মো. সোহেল বলেন, “সায়েদুর রহমানের জমির দলিল সত্য, তবে জমি এখানে নয়, অন্যত্র। তিনি আমার জমির মধ্যে প্রাচীর দিয়েছেন।” তিনি দাবি করেন, “আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ দেওয়া হোক, তারা যা সিদ্ধান্ত দেবে, আমি তা মেনে নেব।”
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) অনিমেষ হালদার বলেন, “ওই এলাকায় বর্তমানে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪০ ও ১৪৫ ধারা জারি রয়েছে। আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কোনো পক্ষই সেখানে কোনো কার্যক্রম চালাতে পারবে না।