রাবি প্রতিনিধি
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের একটি অন্যতম বিভাগ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সহ বাংলাদেশের মোট ৬ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ রয়েছে। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ নানারকম সীমাবদ্ধতায়ও সফলতার সহিত একযুগ অতিক্রম করেছে। এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের মতামত তুলে ধরেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান কিরন ।
বর্তমান পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশের জ্ঞানপিপাসু শিক্ষার্থীদের মাঝে আন্তর্জাতিক জ্ঞানের পরিমন্ডল বিস্তৃত করতে ২০১৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ।এ বিভাগের সুযোগ্য শিক্ষকগণ সুশৃঙ্খল কারিকুলামের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে একাধারে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের তাত্ত্বিক জ্ঞান ও এর প্রয়োগ, অর্থনীতি,সমাজবিজ্ঞান ,আন্তর্জাতিক আইন ও গবেষণা সম্পর্কে বিস্তর ধারণা অর্জনে কার্যকরী ভূমিকা রেখে চলেছে। এছাড়াও সম্বৃদ্ধ লাইব্রেরী ও কম্পিউটার ল্যাব শিক্ষার্থীদের দক্ষতাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভাগের আয়োজনে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক’ শীর্ষক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে যা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ কে অন্যন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। সর্বোপরি উচ্চশিক্ষার অবাধ সুযোগ সহ ক্রমবর্ধমান জটিল বৈশ্বিক ঘটনাবলী যাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু তাদের জ্ঞানের পিপাসা মেটাতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এক উত্তম গন্তব্যের নাম হতে পারে- শেখ জামিল চতুর্থ বর্ষ।
আজকের বিশ্ব সত্যিই এক রহস্যময় রঙ্গমঞ্চ। প্রতি মুহূর্তে এর সমীকরণ বদলাচ্ছে, তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন জটিলতা। এই প্রেক্ষাপটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ আমার কাছে এক আলোকবর্তিকার মতো। এখানে এসে আমি যেন বৈশ্বিক সম্পর্কের এক নতুন জগতে প্রবেশ করেছি।আমাদের বিভাগে জ্ঞানচর্চা শুধু ক্লাসরুমের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। নিয়মিত সেমিনার আর ওয়ার্কশপগুলো সমসাময়িক বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোকে নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনার সুযোগ করে দেয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আমরা খোলামেলা আলোচনা করি, যা আমাদের চিন্তাভাবনাকে আরও শাণিত করে এবং বিশ্বকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে শেখায়।বিভাগের সুবিশাল লাইব্রেরি আর ল্যাব জ্ঞানের এক বিশাল ভান্ডার। এখানে এসে যেন আমার অনুসন্ধিৎসু মনের তৃষ্ণা মেটে। শিক্ষকরা আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রতিটি লেকচারকে জীবন্ত করে তোলেন। আন্তর্জাতিক রাজনীতি, নিরাপত্তা, কূটনীতি, পরিবেশ, বৈশ্বিক অর্থনীতি—এই সবকিছুই আমরা সময়োপযোগী দৃষ্টিকোণ থেকে শিখি। আমাদের শিক্ষকরা অত্যন্ত দক্ষ এবং অভিজ্ঞ। তাদের তত্ত্বাবধানে আমরা শুধু বইয়ের জ্ঞানই অর্জন করি না, বরং কিভাবে চিন্তা করতে হয়, প্রশ্ন করতে হয় এবং জটিল বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করতে হয়, সেটাও শিখি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর পরিবেশে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে পড়াশোনা শুধু একাডেমিক দিক থেকেই আমাকে সমৃদ্ধ করেনি, বরং একটি বৃহত্তর সামাজিক প্রেক্ষাপটের সাথেও পরিচিত করেছে। এখান থেকে অর্জিত জ্ঞান আর দক্ষতা আমাকে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, আন্তর্জাতিক সংস্থায়, বিশ্ব মিডিয়ায় এবং গবেষণার মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় সফল হতে সাহায্য করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
আমাদের বিভাগের কোর্স কারিকুলাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এখানে গবেষণার অনেক সুযোগ রয়েছে। যেমন, “শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুত”-এর মতো কোর্সগুলো আমাদের রিফিউজি স্পেশালিস্ট বা পলিসি অ্যানালিস্ট হওয়ার মতো পেশার জন্য প্রস্তুত করে তোলে। সত্যি বলতে, আপনি যদি বিশ্বকে জানতে, ভাবতে এবং বদলাতে চান—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ হতে পারে আপনার স্বপ্নের প্রথম ধাপ।এখানে শুধু একজন শিক্ষার্থী হিসেবে নয়, আপনি হয়ে উঠবেন একজন চিন্তাশীল, দায়িত্বশীল এবং মানবিক বিশ্বনাগরিক। আমি বিশ্বাস করি, এই বিভাগ আমাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছে- মাসুম আহমেদ সোহাগ দ্বিতীয় বর্ষ ।
২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিভাগ। স্বল্প সময়ের যাত্রায় দেশের মধ্যে একটি স্বনামধন্য শিক্ষাকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিভাগ। বিভাগের এই রথের চাকা সাফল্যের সাথে এগিয়ে যাওয়ার মুখ্য কারণ হলো আধুনিক পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি শিক্ষকদের গবেষণামুখী দৃষ্টিভঙ্গি যা শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণী সক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। যেখানে শুধুমাত্র বইয়ের পাতা ঘেঁটে শিখে নেওয়ার বদলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ব রাজনীতির গভীরে প্রবেশের সুযোগ পায়। অভিজ্ঞ শিক্ষক, আধুনিক পাঠ্যক্রম এবং গবেষণাভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা হয় যেন বৈশ্বিক রাজনীতি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ থাকে। যাত্রাকালে নানাবিধ জটিলতাকে নেহাত তুচ্ছ করে বিভাগটি সাফল্যের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিভাগ কতৃক একটি উন্নত পাঠ্যসুচি সাজানো হয়েছে যা সমসাময়িক বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখে এবং শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক সংস্থা, রাষ্ট্রীয় কূটনীতি কিংবা উন্নয়ন সংস্থায় ক্যারিয়ার গড়ার উপযোগী করে গড়ে তোলে। শিক্ষকদের অবদানে প্রায়ই বিভাগ থেকে সেমিনারের আয়োজন করা হয়, শুধু যুদ্ধ ও শান্তির বিষয়কে কেন্দ্র করে নয় বরং কূটনীতি, বৈশ্বিক নিরাপত্তা, মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং পরিবেশগত সংকট থেকে শুরু করে অভিবাসন ও বৈশ্বিক অর্থনীতি পর্যন্ত বিস্তৃত হয় এই সেমিনারের উদ্দেশ্য যেখানে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তরে মতামত এবং অভিজ্ঞতা জানা হয়। এছাড়াও রয়েছে উন্নত কম্পিউটার ল্যাব যা শিক্ষার্থীদের গবেষণার কাজে সাহায্য করে এবং কম্পিউটার বিষয়ক দক্ষতাকে আরো শাণিত করে।
শিক্ষকদের অবদানে প্রায়ই বিভাগ থেকে সেমিনারের আয়োজন করা হয়, শুধু যুদ্ধ ও শান্তির বিষয়কে কেন্দ্র করে নয় বরং কূটনীতি, বৈশ্বিক নিরাপত্তা, মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং পরিবেশগত সংকট থেকে শুরু করে অভিবাসন ও বৈশ্বিক অর্থনীতি পর্যন্ত বিস্তৃত হয় এই সেমিনারের উদ্দেশ্য যেখানে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তরে মতামত এবং অভিজ্ঞতা জানা হয়। এছাড়াও রয়েছে উন্নত কম্পিউটার ল্যাব যা শিক্ষার্থীদের গবেষণার কাজে সাহায্য করে এবং কম্পিউটার বিষয়ক দক্ষতাকে আরো শাণিত করে
হাফিজুর রহমান
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়