36 C
Bangladesh
Sunday, May 5, 2024
spot_imgspot_img
Homeঅভিযোগনওগাঁয় হত্যা মামলার আসামি জামিনে বেরিয়ে বাদীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

নওগাঁয় হত্যা মামলার আসামি জামিনে বেরিয়ে বাদীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

মুজাহিদ হোসেন, জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ

নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার পর আসামিরা জেলহাজত থেকে বেরিয়ে এসে বাদীকে মামলা তুলে নিতে ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে বাদী মামুন রশিদ প্রামাণিক জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে মান্দা থানার কালিকাপুর ইউনিয়নের চকগৌরি গ্রামে বয়েজ উদ্দিন এর বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অনাধিকার প্রবেশ করে পাঁচ ব্যক্তি।
তারা হলেন- একই গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে সুলতান প্রামাণিক, মৃত জেহের আলীর ছেলে হবিবর রহমান প্রামাণিক ও আব্দুল হাকিম, দেলুয়াবাড়ী গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে বিদ্যুৎ হোসেন এবং রাজশাহীর বাগমারা থানার পারদামনাশ গ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জব্বার।

এরপর বিদ্যুৎ হোসেনের নেতৃত্বে বৃদ্ধ বয়েজ উদ্দিনকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি দু’দফা মারপিট করে। এতে বৃদ্ধ বয়েজ উদ্দিন নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

বিষয়টি দেখে বৃদ্ধর ছেলের স্ত্রী আফরোজা বেগম সাহায্যের জন্য ডাক চিৎকার দেন। এ সময় বৃদ্ধের স্ত্রী আলতাফুন, ছেলে আব্দুল মান্নান, তার স্ত্রী মোরশেদা এগিয়ে আসলে তাদেরও মারপিট করে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। প্রতিবেশীর সহযোগীতায় গুরুতর আহতাবস্থায় বৃদ্ধ বয়েজ উদ্দিনকে উদ্ধার করে দুপুর ২টার দিকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করে।

উক্ত ঘটনায় নিহতের ছেলে মামুন রশিদ প্রামাণিক বাদী হয়ে ওই পাঁচ ব্যক্তিকে আসামি করে ওই দিনই থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪৬৭/২০। মামলার পর আসামি সুলতান প্রামাণিক ও হবিবর রহমান প্রামাণিককে আটক করে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। তারা ছয়মাস হাজতবাস করে বেরিয়ে আসে। আর বাঁকি তিন আসামি পলাতক ছিল এবং মেডিকেল রিপোর্ট আসার পর তারা জামিন নেয়।

বাদী মামুন রশিদ প্রামাণিক বলেন, আসামিরা জামিনে বেরিয়ে আসার পর মামলা তুলে নিতে এবং জমিজমা দখলে নিতে হুমকি অব্যাহত রেখেছে। তারা ঘরের দেওয়ালের পাশে জোর করে নালা কেটেছে। বর্তমানে স্ত্রী, সন্তান ও পরিবার পরিজন নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করতে হচ্ছে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় দুইবার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দিয়েছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হবিবর রহমান প্রামাণিক বলেন, জেলহাজত থেকে বেরিয়ে আসার পর তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের কথা হয় না। সেখানে হুমকি দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসেনা বরং বাদী মামুন রশিদ প্রামাণিক আমার জায়গা দখল করে তার বাড়ির ইটের প্রাচীর দিয়েছে। তার বাড়ির পানি নেমে যাওয়ার জন্য নালা করেছি।

মান্দার থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফারুক হোসেন জানান, যখন মামলা তদন্তাধীন ছিল তখন আসামিপক্ষরা বাদীকে গালিগালাজ করত বলে শুনেছি। তবে জামিনে বেরিয়ে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বার বার হুমকি দেওয়ার বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি এবং অবগত করেনি। এছাড়া লিখিত কোনো অভিযোগ থানায় দিয়েছে কিনা আমার জানা নেই।অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments