34 C
Bangladesh
Thursday, May 2, 2024
spot_imgspot_img
Homeজাতীয়রাজাপুরের মুক্ত দিবস

রাজাপুরের মুক্ত দিবস

রিপোর্টঃ মো ফেরদৌস মোল্লা
২৩ নভেম্বর ঝালকাঠির রাজাপুর থানা পাকহানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বরিশাল অঞ্চলের মধ্যে রাজাপুর থানা সর্বপ্রথম পাক হানাদার মুক্ত হয়। বৃহত্তর বরিশালের রাজাপুরের আকাশে উড়ে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। ১৪ নভেম্বর ১৯৭১ এর পর সারাদেশের ন্যায় রাজাপুরে মুক্তিযুদ্ধ আরো তীব্র হয়। দেশীয় দোসরদের সহায়তায় পাক বাহিনী সাধারণ নিরীহ জনগণকে ধরে এনে বধ্যভূমি সংলগ্ন খালের ঘাটে বেঁধে গুলি করে খালে ফেলে দেয়। লাশের গন্ধে ভারী হয়ে ওঠে আকাশ বাতাস।

তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে জাঙ্গালিয়া নদীর পাড়ে গর্ত করে জীবন্ত মাটি চাপা দেয় দোসর হানাদাররা। ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা রাজাপুর থানা আক্রমণ করেন । শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। এ যুদ্ধে তৎকালীন থানা কমান্ডার কেরামত আলী আজদ এর নের্তৃত্বে প্রায় তিনশত মুক্তিযোদ্ধা অংশ গ্রহন করেন। পরদিন সকাল পর্যন্ত চলে যুদ্ধ। যুদ্ধ চলমান থাকা অবস্থায় ৯নং সেক্টরের সাবসেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাহজান ওমর যোগদেন। এ যুদ্ধে আব্দুর রাজ্জাক ও হোচেন আলী নামে দুজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। আহত হন ক্যাপ্টেন শাহজান ওমরসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা।

মুক্তিযুদ্ধে সারা দেশকে ১১ টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। রাজাপুর থানা ছিল মুক্তিযুদ্ধের ৯ নং সেক্টরের বরিশাল সাব সেক্টরের অধীনে। উপজেলার কানুদাসকাঠিতে সাব সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাহজান ওমর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি তৈরি করেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য শাহজাহান ওমরকে বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত হন।

প্রতি বছরের ন্যায় রাজাপুর প্রেসক্লাব এ বছরও দিবসটি উদযাপন করবে। এ উপলক্ষে আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। কোভিড-১৯ বিবেচনায় এ বছর আয়োজন সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments