বশির আহাম্মদ রুবেল চট্রগ্রাম
স্বাধীন বাংলাদেশের ঠিক অল্প কিছুদিন পর ১৯৮২ সালের ঢাকায় কিছু প্রবীণ সাংবাদিকদের হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা।
শুক্রবার ০৩ ফেব্রুয়ারি চট্রগ্রাম নগরীর রাজ প্রাসাদ কনভেনশন হলে গৌরবের ৪১ বছর পূর্ণ ও চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম।
কেক কাটা, আলোচনা সভা ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কোভিড কালীন সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য বশির আহাম্মদ রুবেল কে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ‘সাংবাদিকরা দেশের নিরব পাহারাদার। তারা দেশ, সরকার, জনপ্রতিনিধি তথা নীতিনির্ধারকদের সহযোগী। তাঁরা জনপ্রতিনিধিদের ছায়া স্বরুপ। সংবাদকর্মী প্রতিনিধিদের পাশে থাকে সব সময়। একজন সংবাদকর্মী নীতিনির্ধারকদের সহজ পথটি দেখিয়ে দিতে সাহায্য করে। সাংবাদিক রাজনীতিবীদের বিপরীত কর্মকান্ডের যেমন গঠনমূলক সমালোচনা করে তাঁকে সাহায্য করেন। তেমনি প্রতিনিধির দেশ ও সমাজ কল্যাণমূলক কাজের জন্য আরো উৎসাহিত করতে চালিয়ে যান পৃষ্ঠা ভরপুর তাঁর লেখনি। সাংবাদিক কারো বন্ধু নয়। আবার কারো শত্রুতা করাও সংবাদকর্মীর কাজ নয়।
প্রবীণ সাংবাদিক ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা আলতাফ হোসেন বলেন,সাংবাদিক তাঁর দু’চোখ ও তথ্য উপাত্তের মাধ্যমেই তাঁর কলম চর্চা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহিদুল হারুন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি আলমগীর গনী, ইলিয়াস আহমেদ, মো.খায়রুল ইসলাম, সংস্থার মহাসচিব মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম।
সংগঠনের মহাসচিব বলেন, একজন কলম সৈনিক তাঁর কলমের সাথে কখনো আপোষ করে না। একজন লেখক জনপ্রতিনিধির পিছনে তাঁর ভাল-মন্দের নির্বাচক। এক কথায় বলা যায় একটি সংবাদ পত্র ও একজন গণমাধ্যমকর্মীর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই সাংবাদিককে হতে হবে দায়িত্বশী। প্রচার করতে হবে বস্তুনিষ্ঠ সঠিক সংবাদ।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, মাসুদ আলম সাগর, নুরুল আলম, কে এম রুবেল, মনজুর আহমেদ সোহেল, বশির আহমেদ, মোবারক হোসেন ভূইয়া, শাকিল, বাবুল মিয়া বাবলা, আনোয়ারুল হক, মিয়া ফারুক, তুষার কান্তি বড়ুয়া, মো. সেলিম উদ্দিন ভুইঁয়া, মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কেফায়েতুল্লাহ কায়সার ও দিলরুবা খানম।