29 C
Bangladesh
Friday, April 26, 2024
spot_imgspot_img
Homeপ্রতিবেদন☞স্বার্থচিন্তা থেকেই দায়িত্বহীনতা ☜

☞স্বার্থচিন্তা থেকেই দায়িত্বহীনতা ☜

➤মারুফ বিল্লাহ তানিম
⇨বাকেরগঞ্জ, বরিশাল

             ✰মানুষ মাত্রই স্বার্থ! আর স্বার্থই মানুষের জীবনের বড় চাওয়া পাওয়া। কিন্তু এই সার্থের অর্থ কি সুধু নিজের সতেজ নিঃস্বাসের জন্য যাবতীয় স্বপ্ন পূরন...? না!  কখনোই না। আদর্শবান মানুষ কখনো নিজের সার্থের গন্ডিতে আবদ্ধ থাকতে পারে না।  একজন বিবেকবান মানুষের কাছে স্বাধীনতা ও অধিকার নিশ্চিতে পরস্পর সহানুভূতিশীল হওয়াই সার্থের প্রকৃত সংজ্ঞা। এজন্যই বলা হয় "মানুষ মানুষের জন্য "। ধরণীতে বেচে থাকতে হলে সবাইকে নিয়েই বাচতে হবে। বাচার অধিকার সবার জন্য সত্য। সদা সর্বদা আত্নসার্থে বিভোর থাকা আমার মতে নির্বুদ্ধিতা মূর্খতা এবং বোকামি।  সার্থচিন্তা মানুষকে দায়িত্বহীন বানায় এবং প্রতিবাদী চেতনার হৃাস ঘটায়।  তাই বড় হতে হলে আত্নসার্থের উর্ধ্বে উঠে দায়িত্বশীল হতে হবে। একই সাথে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের সবাইকে সমাজের সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ! ন্যয়কে সাধুবাদ! আর সৎকর্মের আদেশ উৎসাহ অনুপ্রেরণা  দিতে হবে। তাহলেই আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে জাহেলিয়াতের আঁধার বিদূরিত হবে এবং শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে আদর্শ রাষ্ট্রের দৃষ্টান্ত স্বরুপ উপস্থাপন সম্ভব হবে। 

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমরা আমাদের নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে আপন আদর্শ ভূলে ধর্মীয় অনুশাসন উপেক্ষা করে মানুষ রুপে পশুত্বের স্বভাব ধারণ করছি। এজন্যই দেখা যায় নিত্য নতুন আজাব গজব আর অশান্তি। ” যেমন কর্ম তেমন ফল ” বাক্যটি চিরসত্য এবং সর্বত্রই যথার্থ। ★উদাহরণস্বরুপঃ আজকে আমার সামনে একজনের উপর জুলুম করা হলো কিন্তু আত্নসার্থে বিভোর হয়ে দায়িত্বহীন মনোভাব লালন করে সাধ্যনুযায়ী প্রতিবাদ করলাম না।
এভাবেই আবার কোনো একদিন আমার উপর কেউ অন্যায়ভাবে জুলুম করবে! নিশ্চয়ই কেউ সাহায্যের হাত বাড়াবে না। কারণ সবাই আমার মত নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। কেউ কারো বিপদে এগিয়ে আসার প্রয়োজন মনে করবে না। হ্যা! এটাই বাস্তবডা! কারণ সৎকাজের আদেশ অন্যায়ের প্রতিবাদ একটি সদ্বোগে পালনীয় নৈতিক ও মৌলিক দায়িত্ব। যখন মানবজাতি এই দায়িত্বকে ভুলে অপকর্ম আত্যাচার অনাচারকে শান্তচিত্তে মেনে নিবে ধরণী তখন আবার জাহেলিয়াতের সেই বিভিষিকাময় আধারে নিমজ্জিত হবে। তাই আমাদেরকে নিজ দায়িত্বে জাগতে হবে।ধর্মীয় অনুশাসনে গড়তে হবে সমাজ ও রাষ্ট্র। এ ব্যাপারে আমাদের তরুণদেরকেই দায়িত্বশীল হয়ে সর্বদা সর্বক্ষেত্রে অগ্রগন্য ভূমিকা পালন করতে হবে।নতুন করে নতুন রুপে তারুন্যর উজ্জ্বল শক্তিকে প্রজ্জ্বলিত করে মানবতার মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।একই সাথে আমাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ ধর্মীয় অনুশাসনের আওতায় আনতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের কাঙ্খিত সাফল্যের শীর্ষে উন্নিত হতে পারবো। ইনশাআল্লাহ!

“আমরাই গড়বো আগামীর পৃথিবী –
ধরণীতে জ্বালাবো শান্তির রবি”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments