39.8 C
Bangladesh
Sunday, April 28, 2024
spot_imgspot_img
Homeপ্রতিযোগিতাদাগনভূঞায় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

দাগনভূঞায় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

আবদুল্লাহ আল মামুন:
দাগনভূঞা উপজেলার চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র দাগনভূঞা উপজেলা শাখার আয়োজনে শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হলরুমে এ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিবেদিতা চাকমা।

চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র দাগনভূঞা উপজেলা শাখার সভাপতি রাজু ভৌমিকের সভাপতিত্বে ও জেলা চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি অর্জুন দাসের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নিখিল দাস, উপজেলা শিল্প কলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক বিজন বিহারী ভৌমিক, দাগনভূঞা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উপদেষ্টা দুলাল দাস ও জেলা চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক আর কে শামীম পাটোয়ারী প্রমুখ।

প্রধান অতিথি ইউএনও নিবেদিতা চাকমা বলেন, খেলাধুলা ও সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা সৃষ্টিশীল প্রজন্ম গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখে। সমাজে মাদকাসক্ত, ইভটিজিং, সাম্প্রদায়িকতা, কিশোর অপরাধ থেকে সন্তানদের দূরে রাখার জন্য সবচেয়ে ভাল যেটা কাজ সেটা হলো সাংস্কৃতিক চর্চা। সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা, খেলাধূলা, শিশুদের বিনোদনের  কেন্দ্র যত বেশি গড়ে উঠবে সমাজে প্রকৃত মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষও গড়ে উঠবে। এছাড়াও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সন্তানদের সাথে মা বাবার দূরত্ব সৃষ্টি যেন না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সন্তানদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি।

বিশেষ অতিথি নিখিল দাস বলেন,
প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শিশুদের মেধা ও মননের বিকাশ ঘটে। শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র পড়ালেখা করলে হবে না, এর পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম হিসাবে ক্রীড়া, শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চা নিয়মিতভাবে করতে হবে। তবেই শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতা, মননশীলতা বিকশিত হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ভালো ছাত্র হওয়ার আগে অবশ্যই একজন মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন ভালো মানুষ হতে হবে।

চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা বলেন, শিক্ষার্থীদের ও মানসিক বিকাশে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বিদ্যালয়ে প্রতি বছরই সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

শেষে বিজয়ী ৫৪ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

উল্লেখ্য, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আতাতুর্ক সরকারি আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গত ১৬-১৭ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী এ সাংস্কৃতিক  প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ইভেন্টে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৫০ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments