30 C
Bangladesh
Sunday, April 28, 2024
spot_imgspot_img
Homeআইন ও আদালতধর্ষনধর্ষণের ঘটনা টাকা দিয়ে মীমাংসা, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা।

ধর্ষণের ঘটনা টাকা দিয়ে মীমাংসা, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা।

মাদারীপুরে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জুতাপেটা ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করে মীমাংসা করার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সদর মডেল থানায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আকতার হাওলাদার, স্থানীয় মাতবর মোয়াজ্জেম আকন, রকমান আকন, মান্নান আকন, সোহেল মাল, রাজ্জাক মাল, সজিব আকন ও ওই কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মামুন মালকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহার ও পুলিশের সূত্র জানা যায়, ৯ আগস্ট সদর উপজেলার এক কিশোরীকে (১৪) বাড়ি থেকে ডেকে নির্জন স্থানে নিয়ে যান ভ্যানচালক মামুন মাল। পরে জোর করে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন তিনি। এ সময় কিশোরীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যান মামুন। বিষয়টি স্থানীয় মাতবরদের জানালে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পরদিন মীমাংসায় বসে উভয় পক্ষ। পরে অভিযুক্তকে ১৫ বার জুতাপেটা করেন ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হাওলাদার। এ ছাড়া ধর্ষণের অপরাধে মামুনের কাছ থেকে আদায় করা হয় দুই লাখ টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নির্যাতনের শিকার পরিবারকে দিয়ে বাকি টাকা রেখে দেন চেয়ারম্যান ও মাতবরেরা।

পুলিশ সূত্র জানায়, জরিমানা ও জুতাপেটা করে ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসা করার পর ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পান ওই কিশোরীর পরিবার ও প্রতিবেশীরা। একপর্যায়ে পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বিষয়টি জানতে পারেন। পরে গতকাল রাতে তাঁদের সহায়তায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হাওলাদারসহ আটজনের নামে সদর মডেল থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় আজ বুধবার প্রথম আলোয় ‘ধর্ষণের অভিযোগ, মীমাংসা চেয়ারম্যানের জুতাপেটায়’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম মিঞা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, ওই ইউপি চেয়ারম্যানসহ আসামিরা আত্মগোপন করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যান ঢাকায় আছেন বলে আমরা শুনেছি। তবে এ মামলায় চেয়ারম্যানসহ বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা মাদারীপুর সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। ভুক্তভোগী এই পরিবারকে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাসহ সব ধরনের আইনগত সহযোগিতা দেওয়া হবে।

সূত্রঃপ্রথম আলো

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments