মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি :
নাম ‘মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি’। কিন্তু সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সমিতির সদস্যের কেউই প্রকৃত মৎস্যজীবী নন। তবু প্রভাব খাটিয়ে জলমহালের ইজারা নিয়েছেন। সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি, ২০০৯ অনুযায়ী, যিনি প্রাকৃতিক উৎস থেকে মাছ শিকার ও বিক্রি করেই প্রধানত জীবিকা নির্বাহ করেন, তিনিই প্রকৃত মৎস্যজীবী।
জানাযায়,নওগাঁর সাপাহার উপজেলার “ধবলডাঙা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি” বাতিলের জন্য অভিযোগ উঠেছে। সমিতির রেজিষ্ট্রেশন বাতিলের জন্য জেলা সমবায় অফিস বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন সৈয়দপুর মৎস্যচাষী সমবায় সমিতির সভাপতি নুরুজ্জামান।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, উপজেলার ” ধবলডাঙা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি”র সদস্যরা সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভুল বুঝিয়ে ২০১০ সালে উক্ত নামে রেজিষ্ট্রেশন করেন। যার রেজিষ্ট্রেশন নং-২৮৯। উক্ত সমিতির সভাপতি ধবলডাঙা গ্রামের কাউসার ও সাধারণ সম্পাদক একই গ্রামের মিজানুর রহমান। অভিযোগে আরো বলা হয়, “ধবলডাঙা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি” তে কোন মৎস্যজীবী নেই।
নিয়ম অনুযায়ী সমিতি চালু করতে হলে মৎস্যজীবী কার্ড লাগে যা ওই সমিতির নেই। যার ফলে সমিতিটি ভুয়া ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। সে সমিতির দ্বারা প্রশাসনকে ধোকা দিয়ে অবৈধ ভাবে খাস পুকুর ইজারা নেওয়া হচ্ছে। ওই অভিযোগের অনুলিপি উপজেলা সমবায় অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রদান করা হয়।
ধবলডাঙা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের সাথে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জেলা সমবায় অফিসার খন্দকার মনিরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সাপাহার উপজেলা সমবায় অফিসার নাজমুল হাসান বলেন ” ওই সমিতির রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছে জেলা থেকে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।