27.7 C
Bangladesh
Saturday, April 27, 2024
spot_imgspot_img
HomeUncategorizedরাণীনগরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবি, স্বামীর বাড়িতে কলেজ ছাত্রীর অনশন

রাণীনগরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবি, স্বামীর বাড়িতে কলেজ ছাত্রীর অনশন

মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর রাণীনগরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অনশন করছে শিফা (১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রী। বুধবার সকাল থেকে উপজেলার সিম্বা গ্রামে যুবক সোয়াইব প্রামানিকের বাড়িতে অনশন করছেন তিনি। এদিকে শিফা স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে তার স্বামী সোয়াইবের বাড়িতে গেলে সোয়াইবের পরিবারের লোকজন শিফাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। এছাড়া সোয়াইবকে বাড়ি থেকে পালিয়ে দিয়েছেন তার পরিবারের লোকজন বলেও অভিযোগ শিফার। অনশনকারী শিফা উপজেলার চকবলরাম গ্রামের বাসিন্দা। সে রাণীনগর মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী। আর সোয়াইব সিম্বা গ্রামের গোলাম কুদ্দুসের ছেলে। শিফা ও সোয়াইব প্রেমের সম্পর্কে গত প্রায় চার মাস আগে বিয়ে করেছে বলে দাবি করেছেন অনশনকারী শিফা। শিফা আরো জানান, কলেজে যাওয়া আসার সময় দুই বছর আগে সিম্বা গ্রামের সোয়াইবের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের মাধ্যমে গত আগস্ট মাসে গোপনে আমরা দু’জন নোটারি পাবলিকের ও নিকাহনামা রেজিস্ট্রীর করে বিয়ে করি। বিয়ের পর আমরা দু’জন গোপনে কিছুদিন সংসারও করেছি। এরপর আমাদের বিয়ের কথা জানাজানি হলে সোয়াইব ও তার পরিবার বিয়ে মেনে নিচ্ছিলেন না। বাধ্য হয়ে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি। এরপর সোয়াইব আমার সঙ্গে সংসার করার প্রলোভন দিয়ে জামিন নিয়ে এসে সংসার করতে অসম্মতি জানান ও তার পরিবার আমাদের মেনে নিচ্ছেন না। তাই বাধ্য হয়ে বুধবার সকাল থেকে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অনশন করছি। শিফা আরও জানান, আমি যদি স্ত্রীর স্বীকৃতি না পাই, তাহলে এখানে জীবন দিব তাও অন্য কোথায় যাবো না। এদিকে অভিযুক্ত যুবক সোয়াইব বাড়ি থেকে পলাতক থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার বোন কাকলি পরিবারের অভিভাবক দাবি করে বলেন, মেয়েটি আমাদের বাড়িতে এসে মিথ্যা নাটক করছে। সে আদালতে মামলা করেছে, আমরা মামলায় জবাব দিবো। এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি আবু ওবায়েদ বলেন, অনশন করার বিষয়ে শুনেছি। তবে থানায় কেউ কোন অভিযোগও দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে |

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments